জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি,জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার পরিচিতি,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খবর,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান অবস্থা,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বি ইউনিট,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিট

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়ার বিষয়টি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে, নতুন রাষ্ট্র গঠন এবং সমাজের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানের দিকে ঝোঁক থাকার কারণে এমন পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি সরিয়ে শুধুমাত্র ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ করা হয়।

এই পরিবর্তনের কারণ ছিল সমাজে একটি সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে ধর্মীয় ভেদাভেদ ছাড়াই শিক্ষার্থীরা শিক্ষা লাভ করতে পারবে। তৎকালীন সময়ে ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তার একটি প্রতিফলন এই নাম পরিবর্তনে দেখা যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে ইসলামি চিন্তাবিদ মিজানুর রহমান আজহারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ‘মুসলিম’ শব্দটি যুক্ত করেছেন। অর্থাৎ তিনি ইংরেজিতে লিখেছেন, জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় । এরপরই সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে ।

তার আগে এই জাহাঙ্গীর নগরেই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশ্যে আসা নিয়ে কয়েকটি ছাত্রসংগঠন প্রতিবাদ যানিয়েছে । ছাত্রসংগঠনগুলো দাবি করেছে যে , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম থেকে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে । তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪২তম সিন্ডিকেট সভায় ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করা হয়।

তারপর বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৪২তম সভায় শিবির নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা এলেও এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি এই কথা বলেছে বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকে ।

এই আলোচনা আবার  নতুন করে শুরু হয় যখন বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারির এক ফেসবুক পোস্টের পর । সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে লিখেন, এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‌‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেওয়ার অন্যতম ভিকটিম ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।

এরপর জনপ্রিয় ইসলামী স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারীও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন। এরপর নেটিজেনরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই নামের বিভিন্ন ছবি শেয়ার করছেন।

বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায় যে , ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্ব নাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখে ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’। এটি দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত।১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। পরে ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ১৯৭০ সালের শেষের দিকে ঠিক করা হয়, কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একটি স্বার্থান্বেষী মহল মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দেয়।

1 thoughts on "জাবি থেকে যেভাবে মুসলিম শব্দ বাদ দেওয়া হয়"

  1. Anonymous31/10/24

    এদেশে সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম থাকলেও এরাই আসলে নির্যাতিত। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মজলুম জাতিকে জালেমের জুলুম মুক্ত করুন।

    ReplyDelete

Thanks